পরে তিনি রসিকতা করে বলেন, ‘আমি ঠিক করেছিলাম ফরাসি ভাষায় কথা বলব, কিন্তু সমস্যা হলো, আমি ফরাসি জানি না।’
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন ভারতে ক্রমবর্ধমান ভাষাগত অসহিষ্ণুতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি সংবাদপত্রে দেখলাম যে এক ব্যক্তিকে বাংলায় কথা বলার কারণে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। এটি আমাকে কিছুটা চিন্তিত করেছে।’
পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার কলকাতায় ‘ভারতের তরুণ সমাজ: তাদের কী ধরনের সামাজিক সুযোগ থাকা উচিত’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বাংলাভাষী মানুষদের ধরপাকড়, পুশব্যাক ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
পরে তিনি রসিকতা করে বলেন, ‘আমি ঠিক করেছিলাম ফরাসি ভাষায় কথা বলব, কিন্তু সমস্যা হলো, আমি ফরাসি জানি না।’
সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিমবঙ্গসহ বিভিন্ন স্থানে বাংলাভাষীদের সন্দেহজনকভাবে বাংলাদেশি বলে চিহ্নিত করে হয়রানির ঘটনা উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, ‘আমাকেও বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে, কারণ আমার পৈতৃক বাড়ি ঢাকায়। আর তাতে আমার খুব একটা আপত্তি নেই।’
পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে জন্মগ্রহণকারী এই অর্থনীতিবিদ এ সময় একদল স্নাতক ও উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সঙ্গেও মতবিনিময় করেন।
বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে বাংলাভাষীদের হয়রানি নিয়ে গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে এই নোবেল বিজয়ী বলেন, বাংলা, পাঞ্জাবিসহ প্রতিটি সাংস্কৃতিক পরিচয়ের নিজস্ব গুরুত্ব ও ঐতিহ্য রয়েছে, যা উদ্যাপন করা উচিত। তিনি স্বীকার করেন যে ‘বাংলার মানুষ বা বাংলাভাষী মানুষ পেশাগত বাধা ও অসম্মানের শিকার হচ্ছেন।’
‘আমি বলছি না যে বাঙালি সংস্কৃতি ও সভ্যতা সেরা। তবে আমাদের বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি ও সভ্যতার ইতিহাস তুলে ধরা উচিত। বাঙালি সংস্কৃতির প্রতি সম্মান থাকতে হবে। যদি না থাকে, তবে প্রতিবাদ করতে হবে’, বলেন এই অর্থনীতিবিদ।